
সোনারপুরঃ শেরপা ছাড়াই এবার পর্বত অভিযানে সোনারপুর আরোহীর ৫ সদস্যের পর্বতারোহী দল ৷ সফলভাবে এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘা আরোহনকারী বাংলার বিশিষ্ট পর্বতারোহী রুদ্রপ্রসাদ হালদারের নেতৄত্বে ২২শে ফেব্রুয়ারী সকালে রওনা হচ্ছেন তারা ৷ তাদের লক্ষ্যে হিমাচল প্রদেশের ৬০৩০ মিটারের সিনকুন সাউথ ৷ পুর্বা এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে রওনা দেবেন তারা ৷ দিল্লি থেকে বাসে ২৪ তারিখ মানালি পৌঁছাবেন তারা ৷ মানালি থেকে কেলং পৌঁছে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ছিকা গ্রামে ২দিন রাত কাটাবেন তারা ৷ যা ১২হাজার ফুট উচ্চতায় একটি গ্রাম ৷ শুধু তাই নয়, এই পথের শেষ জনপদ এই গ্রামটিই ৷ এই গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে থাকতে তাদের জন্য এখান থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ, পড়াশুনা ও খেলাধুলার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ একটি মেডিকেল ক্যাম্প করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এলাকার বাসিন্দাদের দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ঔষধ ৷ এছাড়া গ্রামের ছোটদের দেওয়া হবে খেলাধুলা ও পড়াশোনার নানান সরঞ্জাম ৷ ২৭শে ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে মুল অভিযান ৷ এইদিনই শুরু হবে ট্রেক ৷ আনুমানিক ৩ দিন ধরে ট্রেকিং করার পর পিকের গড়ায় ৫৩০০ মিটারে তৈরি করা হবে বেসক্যাম্প ৷ এখান থেকে ক্লাইম্ব করার টার্গেট রয়েছে তাদের বলে জানিয়েছেন দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার ৷ আবহাওয়া ও পরিস্থিতি অনুকুল দেখে ফাইনাল সামিটের দিন স্থির করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুনঃ রাজপুরে আশীষ ও ধীতার ফুচকাবাজি
রুদ্রপ্রসাদ হালদার ছাড়াও এই অভিযানে রয়েছেন সোনারপুর আরোহীর আরও চার সদস্য ৷ তারা হলেন রাহুল হালদার, চিকিৎসক উদ্দীপন হালদার, দেবাশিস মজুমদার ও অরুনাভ সাঁপুই ৷ এই অভিযান সফল করার লক্ষ্যে তারা বিগত কয়েকমাস ধরে একসাথে ট্রেনিং করেছেন ৷ জানা গিয়েছে দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ধরে পশ্চিম গিরিশিরায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ৷ এই অভিযান শীতকালীন অভিযানের মধ্যেই পড়বে ৷ কারণ সাধারণত ২১শে ডিসেম্বর থেকে ২১শে মার্চের মধ্যে কোনও পর্বতের বেসক্যাম্প থেকে শৄঙ্গে আরোহন করে আবার বেসক্যাম্পে ফেরত এলে তা শীতকালীন পর্বতারোহনের মধ্যে পড়ে ৷ এখনও পর্যন্ত শীতকালে পর্বত অভিযান সফল হয়নি ৷ কারণ এইসময় বরফ নরম থাকে ৷ ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও থাকে ৷ এই অভিযান সফল হলে আরোহীর মুকুটে তা নিসন্দেহে নতুন পালক হবে ৷