
সোনারপুরঃ এলাকায় ডানপিটে ছেলে বলেই পরিচিত ছিল আশীষ ৷ চেনা পথের গণ্ডি পেরিয়ে ঝুঁকির পথ ধরে এগিয়ে চলা তার সহজাত ৷ তাই ছোটবেলা থেকেই আর পাঁচ জনের থেকে একটু আলাদা আশিস ৷ পড়াশুনাতেও আশীষ নিজের ডানপিটে ছাপ বজায় রেখেছে ৷ স্কুলের ফাস্ট বয় আশীষ এইসব নানানকারণে সকলের খুব প্রিয় ছিল ৷ চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে জীবনকে চেনা ছিল তার স্বভাব ৷ এই স্বভাবের কারণেই নানান ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়েছে তাকে ৷ এইসব ক্ষেত্রেই আশীষের পাশে থেকেছে শান্ত স্বভাবের ধীতা ৷ স্কুল জীবনেই আলাপ তারপর ১০ বছরের প্রেম ৷
ভিডিও দেখুনঃ https://www.youtube.com/watch?v=_8E7qVXmHn0
বাংলার প্রথমসারির একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মী ছিলেন আশীষ ৷ কাজের ছেলে বলে সকলের কাছেই প্রিয় ছিল সে ৷ বরাবরই নিজের দক্ষতার উপর ভরসা ছিল আশীষের ৷ নতুন কিছু করার স্বপ্নে সংস্থার মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দেয় ৷ ততদিনে আশীষের জীবনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে ধীতা ৷ দুজনে মিলে চিন্তাভাবনা করে শুরু করল ফুচকাবাজি ৷ এই কাজে তাদের পাশে ছিল আশীষের ভাইও ৷ শুরুটা ২০২৩ সালে ২৩শে এপ্রিল সোনারপুরের ক্ষিরিশতলায় ৷ পরে সরে আসে বর্তমান ঠিকানায় ৷ ২০২৩ সালেরই ৭ই অক্টোবর থেকে এখানে শুরু ৷ তারপর থেকে আশীষ আর ধীতা মিলেই সারাদিন আগলে রাখেছে তাদের এই স্বপ্নকে ৷
রাজপুর বিদ্যানিধি স্কুলের বিপরীতে ছোট এক দোকানঘরে সারাদিনই কাটে আশীষ ও ধীতার ৷ ফুচকাবাজিতে রয়েছে হরেকরকমের পুছকা ৷ তার টানেই নানান জায়গা থেকে আসে অনেকেই ৷ বয়সে ছোটরাও ফুচকাবাজির খুব ভক্ত ৷ তবে শুধু ফুচকা নয় আরও অনেক খাবারই পাওয়া যায় এখানে ৷ ভালো ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ধীতা যে একটাসময় রান্নার কিছুই জানত না এখন একাহাতে প্রায় সবটাই সামলাচ্ছে অনায়াসে ৷ দোকানেই মাঝেমধ্যে গিটার হাতে বসে পড়ে আশীষ ৷ আরও অনেকেই সঙ্গ দেয় তাকে ৷ এর পাশাপাশি সাফল্যের সাথে পডকাস্ট করছে আশীষ ৷ চেনা পথের বাইরে বেরিয়ে আশীষ-ধীতার ফুচকাবাজি তাদের সম্পর্কের মতই মজবুত হয়ে উঠছে ৷