
বারুইপুরঃ আনন্দপুর থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দেহ সনাক্ত করল তার স্ত্রীও দাদা ৷ বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে আসে পরিবার ৷ ঘটনাস্থলে ছিল আনন্দপুর থানা ও বারুইপুর থানার পুলিশ ৷ সেখানেই দেহ সনাক্ত করে তারা ৷ স্বামীর দেহ সনাক্ত করার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে স্ত্রী স্বপ্না কুমারী ৷ তিনি জানান তার সাথে যখন শেষ কথা হয় কেউ তাকে মারধর করছে বলে জানায় ৷ তারপর রাত্রি ৯টা নাগাদ তার ফোন বন্ধ হয়ে যায় ৷ রাত্রি আটটা নাগাদ তার সাথে তার স্বামীর শেষ কথা হয় বলে জানান তিনি ৷ স্বামীর সাথে কারোর কোনও শত্রুতা ছিল কিনা তা তার জানা নেই ৷ যে এই কাজ করেছে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানান তার স্ত্রী ৷ গতবছরই জুন মাসে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ মৄতের দাদা বারুইপুর থানায় এসে দেহ সনাক্ত করে ৷ ৩১শে জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল ৷ তারপর থেকে নানান জায়গায় খোঁজ খবর করলেও তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি ৷ ষড়যন্ত্র করে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে বলে জানান তিনি ৷ সত্যি যাতে সবার সামনে আসে তার দাবি জানান তিনি ৷
ফলো লাইক শেয়ার করুন :
ফেসবুক পেজ : https://www.facebook.com/share/19tkZzqKjd/
ইউটিউব চ্যানেল : https://www.youtube.com/@SonarpurUpdate
ওয়েবসাইট – https://sonarpurupdate.com/
মৄত ব্যবসায়ীর নাম সানু রাম ৷ ৩১শে জানু্যারি থেকে সে নিখোঁজ ছিল বলে তার পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে ৷ কোথাও খোঁজ না মেলায় ৪ফেব্রুয়ারি আনন্দপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানায় পরিবার ৷ পুলিশের পক্ষ থেকেও খোঁজ খবর শুরু হয় ৷ এরইমধ্যে বারুইপুর খানা এলাকার কাটাখাল এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে একজনের মৄতদেহ ভাসতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ তারাই থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ গিয়ে জেসিপির সাহায্যে দেহ উদ্ধার করে ৷
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে একটি জমির দালালির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ ৷ সোনু রামকে অপহরণ করে গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ৷ ঘটনায় এক নাবালক সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এখনও একজনের খোঁজ চলছে ৷ বাড়ি থেকে অনুপ মন্ডল নামে এক ব্যক্তির সাথে বেরিয়েছিল ৷ সেও তারপর থেকে বেপাত্তা ৷ এই সুত্র ধরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ এরইমধ্যে বারুইপুর থেকে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয় ৷ তাদের জুতোর ব্যবসা ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷