

আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন, তারপরেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে চলেছ তোমরা ৷ এইসময় খানিকটা টেনশন হওয়া স্বাভাবিক ৷ তবে হাতে যেহেতু সময় কম তাই আমি বলব কোনও কিছু না ভেবে শুধুমাত্র পড়াশুনায় মন দাও ৷ শেষ সময়ের এই প্রস্তুতিটা ভালো রেজাল্ট করতে খুব সাহায্য করে ৷ শুধুমাত্র কোনও একটা বিষয নয়, মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করতে গেলে প্রতিটি বিষয়ই ভালো করে মন দিয়ে পড়তে হবে ৷ আমি তোমাদের ভুগোলে কি করলে বেশী নম্বর পাওয়া যায় তা নিয়েই আমি আমার মতামত তোমাদের সাথে শেয়ার করব ৷
মাধ্যমিকে ভুগোলে ৯০ শতাংশ নম্বর পাওয়া খুবই সোজা ৷ শুধু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ও মন দিয়ে পড়াশুনা করতে হবে ৷ জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসার আগে আশাকরি পড়াশুনা নিয়ে তোমরা সকলেই নিশ্চয় খুব সিরিয়াস ৷ একটা কথা তোমাদের সবাইকে মাথায় রাখথে মাধ্যমিকে রেজাল্টের উপর কিন্তু আগামীদিনে তোমাদের পড়াশুনা কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে ৷ তোমাদের আগেই বলেছি ভূগোলের ক্ষেত্রে নম্বর পাওয়া ভীষণই সহজ। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই ৯০% নম্বর অনায়াসে তোলা যায়। আলোচনার সুবিধার্থে এবার চলো ভুগোলের মোট নম্বরকে সবার আগে ভাগ করে নেওয়া যাক ৷ তোমরা সবাই জানো MCQ বা অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে ৩৬ নম্বরের ৷ SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে ২৪ নম্বরের ৷ ২০ নম্বর থাকে রচনাধর্মী প্রশ্নে ৷ বাকি ২০ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর থাকে ম্যাপ পয়েন্টিংয়ে, আর বাকি ১০ থাকে IFE তে ৷
পরীক্ষা হলে ঢোকার আগেই তোমরা ২০ নম্বর নিয়েই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করছ। ১০ নম্বর ম্যাপ পয়েন্টিং এর ক্ষেত্রে ও বাকি ১০ নম্বর IFE তে। ম্যাপ পয়েন্টিং খুবই সহজ একটা জিনিস যেটা তোমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে মাত্র পাঁচ মিনিটেই করে ফেলতে পারবে ৷ ISE এর ক্ষেত্রে যে ১০ নম্বর থাকে তা অনেকটাই স্কুলের উপর নির্ভর করে ৷
# এবার আসি MCQ নিয়ে আলোচনায় ৷ এখানে ৩৬ নম্বর আছে ৷ সবগুলি ঠিক করতে পারলে অনায়াসে পুরো নম্বরই পাওয়া যাবে ৷ তারজন্য বইয়ের প্রতিটি লাইন পড়তে হবে ৷ কারণ যে কোনও জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে ৷
# ভূগোলে বেশী নম্বর পেতে গেলে ছবি আঁকা প্র্যাকটিস করাটা ভীষণ জরুরি। রচনাধর্মী প্রশ্নে বিশেষ করে প্রাকৃতিক ভূগোলের যে প্রশ্নগুলোতে চিত্রসহ বর্ণনা কর বলা থাকে সেখানে ছবি দিতেই হবে। ছবির ক্ষেত্রে আলাদা করে দেড় নম্বর থাকে ফলে সঠিকভাবে ছবি আঁকতে পারলে পুরো নম্বরই পাওয়া যায়।
# তিন নম্বরের প্রশ্ন, বিশেষ টিকা লেখার ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফুল মার্কস পাওয়া কোনো ব্যাপারই নয়। উত্তর লেখার ক্ষেত্রে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, সংজ্ঞা উৎপত্তি, বৈশিষ্ট্য লিখে উদাহরণসহ ছবি আঁকলে অনেক সময় পুরো নাম্বার পাওয়া যায়। এইভাবে যদি পয়েন্ট করে লেখা যায় তাহলে নম্বর কাটার আর কোনও জায়গা থাকে না।
# একটি সহায়িকা কেনার থেকে দুটি লেখকের পাঠ্যপুস্তক কিনলে ও মন দিয়ে পড়লে আরো ভালো ফল করা যাবে।
সবার শেষে আবার একটাই কথা বলব, একদম টেনশন করার কিছু নেই ৷ হাতে এখনও যে সময় আছে মন দিয়ে পড়লে অনায়াসে ভুগোলে ভালো রেজাল্ট করা যাবে ৷ তোমাদের জন্য আমার অনেক আশীর্বাদ রইল ৷