সোনারপুর: অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে চার বছরের প্রত্যুষা কর্মকারের খুনের পুনর্নির্মাণ করল সোনারপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার বারুইপুর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার রাত দুটোর পর নাতনি খুনের অভিযোগে ধৃত দাদু প্রণব ভট্টাচার্যকে নিয়ে আসা হয় কোদালিয়ার কদমতলার বাড়িতে। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া। কীভাবে তিনি নৃশংসভাবে নিজের নাতনিকে খুন করেছিলেন, ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেন অভিযুক্ত দাদু। উপস্থিত পুলিশকর্মীরাও স্তম্ভিত হয়ে পড়েন ওই দৃশ্য দেখে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাবাসীর ক্ষোভ ও আইনশৃঙ্খলার আশঙ্কায় রাতের অন্ধকারেই এই পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ, দিনের আলোয় ধৃতকে নিয়ে গেলে উত্তেজনা তৈরি হতে পারত। তাই গোপনীয়তার চাদরে ঢাকা পড়ে সারা হয় গোটা প্রক্রিয়া। এমনকী আশপাশের বাসিন্দারাও কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। সূত্রের খবর, পুনর্নির্মাণের সময় প্রণব ভট্টাচার্য ছিলেন সম্পূর্ণ নির্বিকার, কোনও অনুতাপ বা আবেগের ছোঁয়াও ছিল না তাঁর মুখে। ঘটনাটি ঘিরে নতুন করে তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে সোনারপুর জুড়ে।
