বারুইপুরঃ ভর সন্ধ্যায় জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। একাদশীর দিন পরিবারের সঙ্গে বালিগঞ্জে ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন বারুইপুর রামমোহন পল্লীর বাসিন্দা ও পেশায় রেলকর্মী কার্তিক সরদার। রাত পৌনে দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরে সদরের তালা খুলে ঘরে ঢুকতে গিয়েই আঁতকে ওঠেন তিনি। কাঠের দরজা ভেতর থেকে আটকানো! মুহূর্তে বুঝে যান, ঘরের ভেতরে কেউ রয়েছে। প্রতিবেশীদের খবর দিতেই শুরু হয় তৎপরতা। বাড়ির চারপাশ খতিয়ে দেখতে গিয়ে নজরে আসে পিছনের একটি জানালার কাটা গ্রিল।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। সন্দেহ হয় চোর এখনও ঘরের ভিতরে লুকিয়ে আছে। তাই কাটা গ্রিলের জানালায় পাহারা বসিয়ে মেন গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। দোতলা বাড়ির প্রতিটি ঘর তন্নতন্ন করে খোঁজাখুঁজি হলেও কাউকে আর পাওয়া যায়নি। তবে ততক্ষণে স্পষ্ট—ঘরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একটি ঘরে চারটি আলমারিই লন্ডভন্ড; প্রতিটি লকার ভাঙা। বাড়ির গৃহকর্ত্রী দোলা সরদার জানান, লকারে রাখা প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা ও বেশ কিছু সোনার গয়না খোয়া গেছে। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রামমোহন পল্লীর বাসিন্দারা। এলাকার মানুষের প্রশ্ন—“এভাবে যদি বাড়ি ফাঁকা রাখাই না যায়, তবে বাইরে বেরোবো কী করে?”
উল্লেখ্য, এর আগেও কার্তিকবাবুর বাড়িতে চুরি হয়েছিল। ফলে ভয় আর অসুরক্ষার অনুভূতি এখন চরমে। বারুইপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তবে রাতের অন্ধকারে এমন দুঃসাহসিক চুরিতে প্রশ্ন উঠছে—বারুইপুর নিরাপদ তো?
