সোনারপুর : দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক যুবকের। মৃতের নাম সন্দীপ চক্রবর্তী (২৪)। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়ার মহামায়াতলায় তাঁর বাড়ি। বাবা প্রদীপ চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা এবং স্থানীয় এক দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন সন্দীপ।
শুক্রবার রাতে দুই বন্ধুকে নিয়ে বাইকে বারুইপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, বাইকটির নিয়ন্ত্রণ হঠাৎই বিগড়ে যায় এবং সেটি সজোরে ধাক্কা মারে রাস্তার ধারের একটি ল্যাম্পপোস্টে। তিনজনের কারোর মাথাতেই ছিল না হেলমেট। প্রবল আঘাতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হন তিনজনই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা সন্দীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত দুই বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্দীপের বাবা প্রদীপ চক্রবর্তী। তিনিও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পঞ্চমীর দিন এমন এক মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে রত পরিবার মুহূর্তের মধ্যে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হেলমেট ছাড়া তিনজন একই বাইকে চড়েছিলেন কেন, বাইকের গতি কত ছিল এবং অন্য কোনও যানবাহন দুর্ঘটনার সময় জড়িত ছিল কি না—সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দুর্ঘটনার সময় রাস্তা ছিল ফাঁকা। অতিরিক্ত গতির ফলেই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এই দুর্ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলেছে হেলমেট সচেতনতা ও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এক মুহূর্তে তাঁদের জীবনে অন্ধকার নেমে এল। পাড়া প্রতিবেশীরা বিধ্বস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
