নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ৪ঠা সেপ্টেম্বর এক অনামী শৃঙ্গে সফলভাবে আরোহণ করলেন তিন অভিযাত্রী। ভারতের গর্ব বাড়ালেন বারুইপুরের অরিত্র চ্যাটার্জি, গুজরাটের নচিকেত গুপ্তা ও উত্তরাখণ্ডের লভি সিং। ১৯শে আগস্ট মানালি থেকে রওনা দেওয়া পাঁচ সদস্যের অভিযাত্রী দলের লক্ষ্য ছিল জংস্কার অঞ্চলের দুটি অনামী ছয় হাজারী শৃঙ্গ। দলের নেতৃত্বে ছিলেন অরিত্র। বাংলার পক্ষ থেকে আরও ছিলেন রেমো গোমস ও অভিষেক ঘোষ।
অভিযানের শুরু হয় সিঙ্কুলা পাস অতিক্রম করে পদমের কাছে সানি গ্রাম থেকে। লক্ষ্য ছিল Rangtik topko গ্লেসিয়ারের দুটি শৃঙ্গ, যেগুলোকে জাপানিজ দল ম্যাপে H5 ও H2 নামে চিহ্নিত করেছিল। আগে কোনও ভারতীয় দল এই শৃঙ্গগুলোতে পা রাখতে পারেনি। alpine style-এ অভিযান চালালেও প্রথম দফায় খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। কয়েকদিন স্থানীয় গ্রামে অপেক্ষা করার পর আবহাওয়া পরিষ্কার হলে ফের অভিযাত্রীরা যাত্রা শুরু করেন।
বেসক্যাম্পে পৌঁছানোর পর আবারও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে ৪ঠা সেপ্টেম্বর ভোর রাত ৩টেয় শুরু হয় সামিট পুশ। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ৬২৭৮ মিটার উচ্চতার এক অনামী শৃঙ্গ জয় করেন তারা। স্থানীয়দের দাবি, এর আগে এই শৃঙ্গের সফল আরোহণের কোনও তথ্য নেই। তাই অভিযাত্রীরা শৃঙ্গটির নামকরণের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। এই সাফল্য কেবল তিন অভিযাত্রীর নয়, ভারতীয় পর্বতারোহণের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোগ হলো।
