নরেন্দ্রপুরঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বনহুগলীতে খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়। শুক্রবার দুপুরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে শ্যামল বিশ্বাস, বিধান ব্যানার্জী ও বাপ্পা মিস্ত্রিকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা এই তিনজন বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় ফেরে বলে খবর পায় পুলিশ, এরপরেই অভিযান চালিয়ে ধরা হয় তাদের।
আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ: আইএসএফ সমর্থক ভাইপোর হামলায় তৃণমূল বুথ সভাপতি কাকা গুরুতর জখম
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই খুন। বাপ্পা মিস্ত্রি আগের ঘটনায় মারধর খাওয়ায়, বদলা নিতে পরিকল্পিতভাবে খুন হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। গত ৫ জুলাই নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হয় বিষ্ণুপুর থানার বাসিন্দা সুদীপ নাড়ুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের এসওজি। প্রথমে ধরা পড়ে নরেন্দ্রপুরের নতুনহাট এলাকার সুশান্ত দাস ওরফে লাদেন। তার জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আশাদুল মণ্ডল ওরফে কালোবাবুর নাম। জানা যায়, সুদীপের সঙ্গে তাদের পুরনো শত্রুতা ছিল। ধৃতরা সকলেই দাগী আসামি—খুন, ছিনতাই, হামলাসহ একাধিক মামলায় জড়িত।
সুশান্ত ও আশাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের হাতে আসে রাজা বণিক নামে এক গাড়ি চালকের হদিস। নেতাজীনগরের বাসিন্দা রাজা রানাঘাট থেকে ধরা পড়ে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, খুনের আগে সে নিজের গাড়িতে সুদীপকে নিয়ে আসে এবং পরে সেই গাড়িতেই দেহ ফেলে দেওয়া হয়। নরেন্দ্রপুর খুনকাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ।
