সোনারপুরঃ শহরের কংক্রিটের জঙ্গলে হারিয়ে যাচ্ছে পাখির কলতান। সেই হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ফিরিয়ে আনতেই এবারের দুর্গোৎসবে অভিনব উদ্যোগ মিলপল্লী সার্বজনীন দুর্গোপুজো কমিটির। পুজোর থিম ‘পাখির বাসা’। পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং বিলুপ্তির পথে থাকা পাখিদের গুরুত্ব বোঝাতেই এই ভাবনা বলে জানালেন পুজো উদ্যোক্তারা।
এবছর ৪২ বছরে পা দিল মিলপল্লীর এই পুজো। প্রতিবছরই পুজো ঘিরে সোনারপুরবাসীর উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আশাবাদী পুজো কমিটি। রবিবার আয়োজিত হল খুঁটিপুজো। উপস্থিত ছিলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পৌরপিতা সন্দীপ নস্কর, পৌরমাতা সায়নী বোস দাস এবং বিশিষ্ট প্রাক্তন ফুটবলার প্রতাপ ঘোষ। ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, একসময় সোনারপুর অঞ্চলে নানা প্রজাতির পাখির অবাধ বিচরণ ছিল। শহরের বিস্তার ও অট্টালিকার দাপটে সেই পাখিরা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের বসবাসের স্থান হয়ে উঠছে অনুপযুক্ত। সেই সংকটকেই থিমের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, “আমরা শুধু ঠাকুর দেখাতে চাই না, সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাও তুলে ধরতে চাই। সেই চিন্তা থেকেই এবারের থিম।”
পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি নস্টালজিয়াও জড়িত এই থিমে। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙা, কিংবা বিকেলে জানলার ধারে বসে তাদের উড়ান দেখা—এসব স্মৃতি অনেকের মনেই এখনও গেঁথে রয়েছে। সেই অনুভবকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এবারের আয়োজন। শুধু আড়ম্বর নয়, সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে মিলপল্লীর এই দুর্গোৎসব।
