কাকদ্বীপঃ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে এবার থেকে সঙ্গে রাখতে হবে সচিত্র আসল পরিচয়পত্র। এটি বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্যের মৎস্য দপ্তর। বেশ কিছু দিন ধরেই এই নিয়ম চালু থাকলেও বহু মৎস্যজীবী তা মানছেন না। যার জেরে সমস্যায় পড়ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছাকাছি যখন ভারতীয় ট্রলারগুলি পৌঁছয়, তখন সেখানকার মৎস্যজীবীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে গিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ অন্ধকার কাটিয়ে আলোয় উদ্ভাসিত কুলতলি—অবশেষে জ্বলল স্ট্রিট লাইট সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে
সূত্রের খবর, অনেক ট্রলারে দেখা গিয়েছে অন্তত চার-পাঁচজন মৎস্যজীবীর কাছে কোনও বৈধ পরিচয়পত্রই নেই। সেই পরিস্থিতিতে সন্দেহজনক কাউকে আটকানো বা নিরাপত্তার কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে। বিষয়টি জানার পরই কড়া পদক্ষেপ নেয় মৎস্য দপ্তর। সম্প্রতি উপকূল রক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মৎস্যজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছে মৎস্য দপ্তর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ। তিনি বলেন, “বিভিন্ন বিষয়ে সংগঠন গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। সমস্ত মৎস্যবন্দরে মাইকিং করে সচেতনতা বাড়ানো হবে।”
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতিনাথ পাত্র জানান, “এই নির্দেশ জারি হওয়াটা খুবই জরুরি ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থেই সব মৎস্যজীবীর আইডেন্টিটি কার্ড সঙ্গে থাকা উচিত।” নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন এখন কঠোর। নির্দেশ অমান্য করলে ভবিষ্যতে ট্রলার আটকানো বা আইনি পদক্ষেপও হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
