নরেন্দ্রপুরঃ অবশেষে সুদীপ নাড়ু খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে তিনজন। তাদের বিরুদ্ধে খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতার গ্রেফতার ঘিরে চাঞ্চল্য ক্যানিংয়ে
গত ৫ জুলাই নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হয় বিষ্ণুপুর থানার বাসিন্দা সুদীপ নাড়ুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও উদ্ধার করে দেহ। ঘটনার তদন্তে নামে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের এসওজি (Special Operations Group)। যৌথভাবে তদন্তে নামে দুই বাহিনী। তদন্তে নেমে প্রথমে ধরা পড়ে সুশান্ত দাস ওরফে লাদেন, যিনি নরেন্দ্রপুর থানার নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা। সুশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে আশাদুল মন্ডল ওরফে কালোবাবুর নাম। জানা গেছে, সুদীপের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল ধৃতদের। অভিযুক্তরা সকলেই পরিচিত দাগী আসামী। একাধিক থানায় তাদের বিরুদ্ধে খুন, ছিনতাই, হামলা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সুশান্ত ও আশাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ হদিস পায় রাজা বণিক নামে এক গাড়ি চালকের, যাকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। নেতাজীনগর থানা এলাকার বাসিন্দা রাজা খুনের আগে নিজের গাড়িতে সুদীপকে নিয়ে এসেছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। খুনের পরে তার গাড়িতেই দেহ ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের নেপথ্যে পরিকল্পনা কতটা গভীর, তা জানতেই পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে চায়। তদন্তে উঠে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, মনে করছে পুলিশ মহল।
