নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতিপ্রেমী অনুপম দাস। রাজপুরের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। কাজের ফাঁকে বা ছুটির দিনে পাহাড়ের টানেই বেরিয়ে পড়েন, কখনও একা, কখনও বন্ধুদের সঙ্গে। তবে এবার পরিকল্পনা ছিল একটু অন্যরকম—পরিবারের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার।
পরিকল্পনার শুরুতেই দরকার ছিল নির্ভরযোগ্য একটি ট্রাভেল এজেন্সির। অনলাইনে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিনি খুঁজে পান ‘Mad About Travel’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সিকে। শুরুতে কিছুটা দ্বিধা ছিল—কারণ আজকাল অনলাইন প্রতারণার সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেকেই ট্যুর বুকিংয়ের নামে টাকা দিয়ে প্রতারিত হন। কিন্তু বহুবার কথাবার্তা এবং পরিষেবার পদ্ধতি দেখে বিশ্বাস স্থাপন করেন অনুপম। এরপরই সাজিয়ে ফেলেন পুরো ট্যুর প্ল্যান—সঙ্গে বাবা, মা, মাসি, মেসো এবং ছোট বোন। ভ্রমণের শুরু নিউ জলপাইগুড়ি থেকে। প্রথমদিনের গন্তব্য রামধুরা। পথে দেখা হয়ে যায় ডেলোপার্ক, হনুমানটপ, বুদ্ধপার্ক এবং প্যারাগ্লাইডিং পয়েন্টের সৌন্দর্যের সঙ্গে। এরপর রাত্রিবাস রামধুরায়। দ্বিতীয় দিনে লাভা, রিশপ এবং লোলেগাঁও—সব জায়গাই ঘোরা সম্পূর্ণ করে আবারও রাত্রিবাস হয় রামধুরায়।
তৃতীয় দিনে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়া তাকদা-তিনচুলে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। পথে দেখা লাভার্স মিট ভিউ পয়েন্ট, পেশক টি গার্ডেন, তিনচুলে ভিউ পয়েন্ট, তাকদার হেরিটেজ বাংলো এবং অর্কিড সেন্টার। এরপর তাকদায় একরাত্রি কাটিয়ে যাত্রা শুরু হয় পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে। পথে দেখা যায় বাতাসিয়া লুপ, ঘুম মনাস্ট্রি, রোপওয়ে, চিড়িয়াখানা, তেনজিং রক ইত্যাদি। রাতে বিশ্রাম দার্জিলিংয়ে। পরদিন ঘোরা হয় কার্শিয়াং—তারপর শিলিগুড়ি হয়ে ফিরে আসা। তবে ফিরে আসা মানেই শেষ নয়, বরং স্মৃতির ঝুলিতে জমা পড়ে বহু ভালো লাগা, নির্ভরতার অনুভব এবং পারিবারিক আনন্দ।
এই পুরো সফরের প্রতিটি ধাপে পাশে ছিল ‘Mad About Travel’। অনুপম জানিয়েছেন, তার মা এবং মাসির হাঁটার সমস্যা থাকলেও ট্রাভেল এজেন্সির তরফে হোমস্টেতে এমন ঘর দেওয়া হয়েছিল যাতে তাঁদের অসুবিধা না হয়। এমনকি ঘরে বসেই খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। ‘Mad About Travel’-এর সৌজন্যে একটা নির্ভার, ঝামেলাহীন সফর সম্ভব হয়েছে। ফের যদি পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, সঙ্গী হবেন অবশ্যই এই ট্রাভেল এজেন্সির লোকেরা। আপনি চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে— 8509870920 / 8240157592। আপনার ভ্রমণ হোক নিশ্চিন্ত, অভিজ্ঞতা হোক স্মরণীয়।
