ভাঙড়ঃ ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খাঁ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন মোফাজ্জেল মোল্লা (৫০)। বারুইপুর মহকুমা আদালত তাকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মোফাজ্জেল ছিলেন রেজ্জাক খাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ঘটনার দিন থেকেই তাকে নজরে রেখেছিল পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ অশালীন মেসেজ কাণ্ডে গ্রেফতার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল, পকসো আইনে মামলা রুজু
গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর কাশীপুর থানায় দায়ের হওয়া কেস নম্বর 64/11.07.25 অনুযায়ী। ভারতীয় দণ্ডবিধির BNS 103(1)/3(5) ধারার সঙ্গে Arms Act-এর 25/27 ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। রবিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায়, যদিও বিচারক ৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একদিকে, ঘটনার পর থেকেই আইএসএফকে দায়ী করে আসছিল তৃণমূল। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক ও আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “শওকত মোল্লাকে জেরা করলে সব পর্দা ফাঁস হবে। তৃণমূলের একাধিক নেতা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। খুনের রাজনীতি করছে শওকত মোল্লা।” পাশাপাশি শওকতের বিরুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগও তোলেন তিনি।
অন্যদিকে, এই গ্রেফতারির পর সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের ভাঙড় পর্যবেক্ষক ও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা জানান, “যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি তৃণমূলের কেউ নন। তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে, এবং আইএসএফ পরিকল্পিতভাবে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। এদিকে, থমথমে ভাঙড়ে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। তদন্তে মোফাজ্জেলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র কোথা থেকে এল, আর কারা মদত জুগিয়েছিল—সে বিষয়ে জানতেই তাকে জেরা করছে তদন্তকারী দল।
