ভাঙড়ঃ ভাঙড়ে রাজ্জাক খানের খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের পাশাপাশি আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এক সময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এই ঘটনায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন। রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় রাজ্জাক খানের সঙ্গে বহু বছর পাশাপাশি চলেছেন আরাবুল। সেই বন্ধুত্ব, সহযাত্রার স্মৃতি তাঁকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।
আরও পড়ুনঃরাজ্জাক খান খুনে ভেঙে পড়লেন আরাবুল ইসলাম, পুরনো দিনের স্মৃতিতে চোখ ভিজল তৃণমূল নেতার
মর্মাহত আরাবুল ইসলাম বলেন, “যখন ক্ষমতায় ছিলাম, রাজ্জাক ছিল আমার ছায়াসঙ্গী। আমরা একসঙ্গে মঞ্চে উঠেছি, এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু পরিকল্পনা করেছি। এমনকি অনেক সময় একসাথে খেয়েছি, থেকেছি। ভাবিনি এভাবে তাকে হারাতে হবে। এটা শুধু একটা রাজনৈতিক সহকর্মীর মৃত্যু নয়, ব্যক্তিগত স্তরে আমার এক কাছের মানুষের হারানো।“ রাজ্জাক খানের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও ছিল ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আরাবুলের মতে, রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে তাঁদের মধ্যে এক গভীর আস্থা এবং নির্ভরশীলতা ছিল, যা আজ এই মৃত্যুতে ভেঙে গেল। রাজ্জাক খানের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চললেও, আরাবুল ইসলাম সেই দ্বন্দ্বে না গিয়ে একজন সহযোদ্ধাকে হারানোর যন্ত্রণাতেই কাতর। তিনি বলেন, “এলাকার জন্য যে স্বপ্ন দেখতাম আমরা, সেই স্বপ্নের এক সঙ্গী চলে গেল আজ।“
ভাঙড় জুড়ে শোকের আবহ। অনেকেই রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে রাজ্জাক খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এমনকি বিরোধীদের তরফ থেকেও এসেছে নিন্দা ও শোকবার্তা। তৃণমূল নেতাদের একাংশ ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া উচিত। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্জাক খান ছিলেন ভাঙড়ে তৃণমূলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাঁর মৃত্যু শুধুমাত্র একটি খুন নয়, বরং তৃণমূলের অন্দরেই এক গভীর সংকেত। এই পরিস্থিতিতে আরাবুল ইসলামের মতো নেতার আবেগঘন প্রতিক্রিয়া আরও একবার বুঝিয়ে দিল, রাজনীতি কখনও কখনও মানবিক সম্পর্ককেও ছুঁয়ে যায়।
