রায়দিঘি: রথযাত্রার দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল রায়দিঘি থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘ভাই ভাই’ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার। ট্রলারটিতে ছিলেন মোট ১৩ জন মৎস্যজীবী। কয়েকদিন ধরে সমুদ্রে মাছ ধরার পর শুক্রবার যখন তারা ফিরে আসছিলেন, ঠিক তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। আচমকাই ট্রলারটির পাটাতন ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করে। দ্রুত পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রলারটি সম্পূর্ণভাবে জলে ডুবে যায়।
আরও পড়ুনঃ নিউটাউনে গাঁজা সহ গ্রেফতার তিন পাচারকারী, উদ্ধার প্রায় ২০ কেজি মাদক
তবে সৌভাগ্যবশত, আশেপাশে অবস্থান করা আরেকটি ট্রলার—‘আব্বা মায়ের দোয়া’—তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে আসে এবং দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে ১৩ জন মৎস্যজীবীকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। মৎস্যজীবীদের সকলেই সুস্থ রয়েছেন এবং বর্তমানে তাদের রায়দিঘি ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ‘ভাই ভাই’ ট্রলারটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং তা গভীর সমুদ্রে ডুবে রয়েছে। ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায় সমুদ্রপাড়ের অন্যান্য মৎস্যজীবীদের মধ্যে। তবে দ্রুত উদ্ধার হওয়ার কারণে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ও তাঁদের পরিবার।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি কার্তিক দাস জানিয়েছেন, “হঠাৎই ট্রলারের কাঠ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করে। কিছুই বোঝার আগেই ট্রলারটা জলের তলায় চলে যায়। তবে পাশেই ‘আব্বা মায়ের দোয়া’ ট্রলার না থাকলে আমরা কেউই বাঁচতে পারতাম না।” এই ঘটনার পর মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে উপকূলবর্তী এলাকায়। প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
