কাকদ্বীপঃ কাকদ্বীপে ফের সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে জমা পড়া দুই প্রসূতির আধারকার্ড জাল বলে সন্দেহ প্রকাশ করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে জন্ম শংসাপত্র তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ঘটনার জেরে দুটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঘুমন্ত অবস্থায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু দম্পতির, শোকস্তব্ধ কুলপি
ঘটনার সূত্রপাত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। সদ্যোজাত শিশুদের জন্ম শংসাপত্র তৈরির জন্য দুই প্রসূতির পরিবার আধারকার্ড জমা দেয়। সেই আধার যাচাই করতে গিয়ে সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পরিষ্কার করতে দুই পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয় হাসপাতালে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্থানীয় একটি সাইবার ক্যাফে থেকেই ওই আধারকার্ড বানানো হয়েছিল। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু রায় জানান, “দুটি আলাদা ঘটনা হলেও দুটিতেই একটাই মিল—আধারকার্ড জাল। আমরা হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা ও কাকদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।” প্রসূতির মা’র বাবা রূপচাঁদ দোলই বলেন, “আমরা কিছু জানতাম না। ক্যাফেতে বলেছিল আধারকার্ড তৈরি করে দেবে। এখন এই সমস্যায় পড়েছি।”
এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তদন্ত শুরু হয়েছে সাইবার ক্রাইম ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের তরফেও। ইতিমধ্যে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে সন্দেহভাজন সাইবার ক্যাফে ঘিরে। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি—এই চক্রের পেছনে শাসক দলের মদত রয়েছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করুক—এই দাবিও জানিয়েছে বিরোধীরা। এই মুহূর্তে ওই দুই সদ্যোজাতের জন্ম শংসাপত্র ইস্যু নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। চিন্তায় পড়েছে পরিবারগুলি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জন্ম শংসাপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে।
