
বারুইপুরঃ স্বাস্থ্য পরিসেবার পরিকাঠামোয় বড় ফাঁক রয়ে গিয়েছে দেশে—বিশেষত দক্ষ মেডিকেল টেকনিশিয়ানের অভাব চোখে পড়ার মতো। এই ঘাটতির ফলেই বহু মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। এই চিত্র দেখে চিন্তিত হন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. শতদল সাহা। তিনি উপলব্ধি করেন, গ্রামীণ যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে যুক্ত করলে এই পরিস্থিতির অনেকটাই বদল আনা সম্ভব। সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় ‘স্কুল ফর স্কিলস অ্যালায়েড হেলথ সেন্টার’।
আরও পড়ুনঃ দেউলবাড়িতে অবশেষে খাঁচাবন্দি হল বাঘ, স্বস্তিতে গ্রামবাসী
২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান আজ ভারতের ছয়টি রাজ্যে মোট ১১টি কেন্দ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ৫,০০০-এরও বেশি ছাত্রছাত্রী এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন নামী হাসপাতালে কাজ করছেন সাফল্যের সঙ্গে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণরা এখানে ৬ মাস, ১ বছর ও ২ বছরের কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৬টি সার্টিফিকেট কোর্স ও ৩টি ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করছে। সম্প্রতি বারুইপুরেও শাখা খুলেছে এই প্রতিষ্ঠান। এখানেও দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কোর্সে ভর্তি হতে গেলে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এবং ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশ। কোর্স ফি শুরু হচ্ছে মাত্র ২৭ হাজার টাকা থেকে, যা এই ধরনের প্রশিক্ষণের তুলনায় অনেকটাই সাশ্রয়ী।
এই উদ্যোগ একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলছে, তেমনই স্বাস্থ্য পরিষেবার খোলনলচে বদলে দেওয়ার শক্তিও রাখে। গ্রামীণ যুবকদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি স্বর্ণসন্ধানী সুযোগ।