
নরেন্দ্রপুরঃ গ্রীনপার্ক শিক্ষাসদন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ যেন বৃহস্পতিবার পরিণত হয়েছিল এক রঙিন ফলবাগানে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত হল এক ব্যতিক্রমী ‘ফল উৎসব’। উদ্দেশ্য – ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি ফলের পুষ্টিগুণ ও পরিচয় তুলে ধরা আনন্দঘন পরিবেশে।
আরও পড়ুনঃ ৩৩ বছরে পা, লিছুবাগানে খুঁটিপুজোয় জমজমাট সূচনা মানিকপুর সার্বজনীনের – এ বছর প্রথমবার কুমারী পুজো
এদিনের প্রদর্শনীতে ছিল মোট ১১ রকমের মৌসুমি ফল। তরমুজ, কাঁঠাল, সবেদা, আম, কালোজাম, লিচু, পেয়ারা, লেবু, শসা – প্রতিটি ফল আলাদা করে সাজানো হয় বর্ণিলভাবে, যাতে শিশুদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ে। ছিল ঠাণ্ডা পানীয়ের ব্যবস্থাও। ফলের নাম, গুণাগুণ এবং পুষ্টিমূল্য নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছোট ছোট ব্যাখ্যা দেন শিশুদের বোঝার উপযোগী ভাষায়। শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, অভিভাবক এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এই আয়োজনে। প্রদর্শনী শেষ হলে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে ফল পরিবেশন করা হয়। ফলের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি তারা বুঝেছে— স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, “ছোটবেলা থেকেই যদি শিশুদের মধ্যে ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তারা সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে। সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।”
সরকারি বিদ্যালয়ে এমন শিক্ষামূলক ও স্বাস্থ্যসচেতনতা মূলক কর্মসূচি দেখে অভিভাবকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই প্রশংসা করেছেন এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য। এই উৎসব যেন হয়ে উঠল শুধুই একটি প্রদর্শনী নয় – বরং শিশুদের জীবনে এক আনন্দময় শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি খাবারের স্বাস্থ্যকর দিকটাও হয়ে উঠল শিক্ষার অংশ।