
হরিনাভী: “মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক…” — কবিগুরুর এই অমর পংক্তি যেন নতুন করে জীবন্ত হয়ে উঠল হরিনাভী পল্লীমঙ্গল সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে। প্রতিবছরের মতো এবারও ক্লাবঘরে অনুষ্ঠিত হল এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এলাকার বাসিন্দা ও ক্লাব সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভরপুর ছিল গোটা আয়োজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতে গান, কবিতা আবৃত্তি, ও রবীন্দ্রসংগীতের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন ছোট থেকে বড় সকলেই। কবিগুরুর সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা সৃজনশীল পরিবেশনা মঞ্চস্থ হয়।
আরও পড়ুনঃ https://sonarpurupdate.com/rabindra-nazrul-memorial-event-organized-by-shitala-maitra-sangha/
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুধু কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালনই নয়, বরং বাংলার সংস্কৃতিকে ধরে রাখার এক আন্তরিক প্রয়াসও ছিল। আয়োজকদের কথায়, “রবীন্দ্রনাথ শুধুই একজন কবি নন, তিনি আমাদের সংস্কৃতির শিকড়। তাঁকে স্মরণ করা মানে নিজের শিকড়কে ধরে রাখা।” উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা, অভিভাবক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যের ছোঁয়া। হরিনাভী পল্লীমঙ্গল সমিতি শুধু সাংস্কৃতিক নয়, সারাবছর ধরেই নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত। স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান, শিক্ষাসহায়তা থেকে শুরু করে পরিবেশ সচেতনতা—সবকিছুতেই এই সংস্থার উপস্থিতি লক্ষণীয়।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতেও এমন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উদ্যোগ চলবে। আগামী প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতেই তাদের এই প্রয়াস। সার্বিকভাবে, রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ছিল এক আত্মিক মিলনের আবহ, যেখানে রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠলেন সেতুবন্ধনের প্রতীক।