
নরেন্দ্রপুরঃ সন্তোষপুরের বাসিন্দা দেবপ্রিয়া ঘোষের পরিবারের এক সদস্য যেন তাঁদের ছয়টি বিড়ালের মধ্যে অন্যতম প্রিয়। ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির ইংরাজি অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দেবপ্রিয়া, পরিবারসহ পশুপ্রেমে ভরপুর এক আবহে বেড়ে উঠেছেন। তাঁদের বাড়ির প্রতিটি সদস্যই জীবজন্তু ভালোবাসেন, এবং এই ভালোবাসারই অংশ ছিল এক প্রিয় বিড়াল, যেটিকে নিউটার করার জন্য ২৯শে এপ্রিল ভর্তি করা হয়েছিল নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ এলাকার আটঘরার একটি পশু চিকিৎসালয়ে।
আরও পড়ুনঃ প্রদীপ বটতলা মাঠে কর্মীসভা বিধায়ক লাভলী মৈত্রর, ডাক না পেয়ে অনুপস্থিত কাউন্সিলর সোনালী রায়
চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৩৩০০ টাকা প্রদান করা হয়। কথা ছিল, ৭ই মে বিড়ালটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে হাসপাতালে গিয়ে দেবপ্রিয়া প্রথমে বিভ্রান্তিকর তথ্য পান। তাকে জানানো হয়, বিড়ালটি এখনও ছাড়া হচ্ছে না। পরে আবার যোগাযোগ করলে জানা যায়—বিড়ালটি নিখোঁজ! বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজ নেওয়ার পরেও পাওয়া যায়নি সঠিক উত্তর। উল্টে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, বিড়ালটি হাসপাতালে পৌঁছনোর পরদিনই পালিয়ে গিয়েছে। অথচ দেবপ্রিয়া ও তাঁর পরিবারকে তা জানানো হয়নি। বরং প্রতিবারই দেওয়া হয়েছে ভুল তথ্য। এই ঘটনার পর হতাশ ও ক্ষুব্ধ দেবপ্রিয়া সরাসরি নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি দেবপ্রিয়া ও তাঁর পরিবার নিজের উদ্যোগে বিড়ালের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আটঘরা এলাকায় হাতে তৈরি পোস্টার বিলি করা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকি, যে কেউ বিড়ালের সন্ধান দিতে পারলে তাকে ২০০০ টাকা আর্থিক পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে দেবপ্রিয়ার তরফে।
এই ঘটনার পর মন খারাপ সন্তোষপুরের ঘোষ পরিবারের। পরিবারের এক সদস্য হারিয়ে যাওয়ার যন্ত্রণায় তাঁরা দিশেহারা। এখন তাঁদের একমাত্র আশা—পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় প্রিয় বিড়ালটি আবার ফিরে আসবে তাঁদের কাছে। যোগাযোগ করুনঃ ৯৮৩০১১০৮৪৪