
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ যদি আপনি ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে নির্জনতা, প্রকৃতি আর পাহাড়ের টানে কোথাও হারিয়ে যেতে চান, তাহলে রাঙ্গেরুন হতে পারে আপনার পরবর্তী পারফেক্ট অফবিট গন্তব্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬১০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই, অথচ এখনও ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়ে পিষে যায়নি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়িতে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে চলতে চলতে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন রাঙ্গেরুনে। রাস্তাতেই চোখে পড়বে একের পর এক মন কাড়া স্পট — লাভার্স ভিউ পয়েন্ট, তিস্তা নদীর মোহিনী রূপ, পেশক টি গার্ডেন আর লামাহাটার সবুজ সৌন্দর্য। চাইলে সিউ সাইড সিনের মতো শটও তুলে নিতে পারেন এখানে।
আরও পড়ুনঃ গড়িয়ায় সিপিএমে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর অলোক কয়াল
রাঙ্গেরুন পৌঁছে প্রথমেই চোখে পড়বে বিস্তীর্ণ চা-বাগান আর পেছনে রাজকীয় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা। ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠা এই জনপদ ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিখুঁত মিশেল। আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে রাঙ্গেরুনের আসল আকর্ষণ — সেনচেল ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা মিলতে পারে ওরিয়েন্টাল টার্টল ডাভ, রেড ভেন্টেড বুলবুল-এর মতো দুর্লভ পাখির, আবার ভাগ্য ভালো থাকলে শজারু, হরিণ এমনকি চিতারও দেখা পাওয়া অসম্ভব নয়। গ্রামে থাকার জন্য আছে কিছু হোমস্টে — ছোট, সাদামাটা কিন্তু অতিথিপরায়ণ। দুপুরে স্থানীয় রান্না খেয়ে এক কাপ চায়ের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে তাকিয়ে বসে থাকা যেন সময়কে থামিয়ে দেয়। রাতে বনফায়ারের আয়োজনও থাকে — আকাশ ভরা তারা আর পাহাড়ি ঠান্ডার মধ্যে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
দার্জিলিং এখান থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার। চাইলে দিনে ঘুরে ফিরে আবার ফিরে আসা যায় এই শান্ত নিসর্গে। তবে মনে রাখবেন, থাকার জায়গার সংখ্যা সীমিত — তাই আগেভাগে বুকিং করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার এই ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে আপনি ভরসা রাখতে পারেন “Mad About Travel”-এর উপর। বুকিং ও অন্যান্য সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করুন এই নম্বর দুটিতে — 8509870920 / 8240157592। রাঙ্গেরুন শুধু একটি জায়গা নয়, এটি এক অনুভব — প্রকৃতির কোলে কিছু নিঃশব্দ মুহূর্ত কাটানোর এক অনন্য ঠিকানা।