
সোনারপুরঃ সোনার গহনার বাজারে খাঁটি গয়নার খোঁজে যাঁরা সোনারপুরের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাঁদের কাছে আজ একটি নাম একান্তভাবে জড়িয়ে গিয়েছে—‘আদি সুরভী ম্যানসন জেমস অ্যান্ড জুয়েলারী ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’। আজ থেকে ৪০ বছর আগে, রাধানাথ ঘোষের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। একদম সাদামাটা, ছোট একটি দোকান দিয়ে শুরু হলেও, ধীরে ধীরে এই প্রতিষ্ঠান পরিণত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হিসেবে। রাধানাথ ঘোষের ব্যবসায়িক দূরদৃষ্টি, গুণগত মান নিয়ে আপোষহীন মনোভাব এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি দিনে দিনে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এই মূল্যবোধ আজও অটুট রয়েছে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও।
আরও পড়ুনঃ তিরিশ লক্ষ টাকার প্রতারণা, দুই ব্যবসায়ী গ্রেফতার নরেন্দ্রপুরে
‘আদি সুরভী ম্যানসন’-এর নিজস্ব কারখানা রয়েছে যেখানে কাজ করেন দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগরেরা। এখানকার প্রতিটি গয়না অত্যন্ত যত্ন সহকারে হাতে তৈরি। কারিগরদের মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত কাজের বিভাজন—যিনি চেন বানান, তিনি আংটি বানান না। এই নিখুঁত কর্মপদ্ধতির ফলেই প্রতিটি গহনায় ফুটে ওঠে নিখুঁত শৈল্পিকতা ও সৌন্দর্য। এখানে পাওয়া যায় সোনার হাতের বালা, লোহা বাঁধানো, ব্রেসলেট, মান্তাসা, নেকলেস, কানের দুল থেকে শুরু করে হীরের আংটি ও নেকলেস—সবই খাঁটি ও নিখুঁত ডিজাইনে গড়া। গ্রাহকদের একটি বড় অংশ জানায়, একবার এখান থেকে গয়না কিনলে, তাঁরা আর অন্য কোথাও যান না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রেতাদের মধ্যে এই বিশ্বাস অটুট রয়েছে। একই ছাদের নিচে গহনার পাশাপাশি রয়েছে পোশাকেরও বিস্তৃত সম্ভার, যা ‘আদি সুরভী ম্যানসন’-কে করে তুলেছে একটি পূর্ণাঙ্গ ফ্যামিলি শপিং ডেস্টিনেশন।
অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষ্যে সংস্থায় চলছে বিশেষ ছাড়ের অফার। মেকিং চার্জের উপর ৩০% ছাড়, যা সোনার গহনা কেনায় ক্রেতাদের জন্য একটি বড়সড় সুবিধা। সোনারপুরের পাশাপাশি সংস্থার আরও একটি শাখা রয়েছে বারুইপুরে, যা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে সহজে পৌঁছনোর সুযোগ করে দেয়। বিশ্বাস, গুণমান ও নান্দনিকতার মেলবন্ধনে সোনারপুরের আদি সুরভী ম্যানসন আজও একটি অমলিন নাম—যেখানে খাঁটি সোনার গহনা মানেই বিশ্বাসের সিলমোহর।