
বারুইপুর : পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মসজিদ মোড় এলাকায়। স্ত্রীর উপর একের পর এক কোপ বসান স্বামী। গুরুতর জখম অবস্থায় গৃহবধূ কাকলি মল্লিককে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন এবং তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর বাইশ আগে মসজিদ মোড় এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মল্লিকের সঙ্গে প্রতিবেশী কাকলি মল্লিকের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। বিগত তিন বছর ধরে স্ত্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত, এমন সন্দেহ পোষণ করে আসছিলেন সঞ্জয়। এই নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই অশান্তি লেগেই থাকত।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ, সোনারপুরে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন বৃদ্ধ
বুধবার সন্ধ্যায় কাকলি দেবী বাড়ির উঠোনে পুজো দিচ্ছিলেন। সেই সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আচমকা তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সঞ্জয়। গলা, বুক ও হাতে একের পর এক কোপ বসান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাকলি দেবী। আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং সঞ্জয়কে ধরে ফেলে আটকে রাখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা অভিযুক্ত স্বামী সঞ্জয় মল্লিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আক্রান্তার মা বৃহস্পতি রায় বলেন, “আমার মেয়ে নিরীহ। ওকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল ওর স্বামী। দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার করত। আমরা অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু লাভ হয়নি। আজ আমার মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেশীদের অনেকেই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে।