
সোনারপুরঃ সোনারপুর থানা এলাকার তেমাথায় এক মিষ্টির দোকানের কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের নাম শম্ভু সামন্ত (৩৫)। তিনি মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে তেমাথায় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন এবং দোকানের পাশেই একটি ঘরে থাকতেন। রবিবার সন্ধেবেলায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভু সামন্ত ‘সনাতন ঘোষ’ নামে স্থানীয় একটি জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। দোকান সংলগ্ন একটি ছোট ঘরেই একা থাকতেন তিনি। এদিন সন্ধের দিকে দোকানের অন্যান্য কর্মীরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর তার ঘর থেকে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া বাইক চালানোয় প্রাণ হারালেন বিশ্বজিৎ দাস, এলাকায় শোকের ছায়া
শম্ভু সামন্তের পরিবারে রয়েছেন তার স্ত্রী ও একটি পুত্র। কলকাতায় থাকেন তার মা মল্লিকা সামন্ত, যিনি অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। শম্ভু নিয়মিতই নিজের পরিবারের জন্য টাকা পাঠাতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। মায়ের কাছেই দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ মৃতের ঘর থেকে একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ আত্মঘাতী বলেই অনুমান করছে পুলিশ, তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তার কল রেকর্ড, মেসেজ ও অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন, কেন একজন শান্ত স্বভাবের, পরিশ্রমী কর্মচারী এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেউ কেউ বলছেন, তিনি হয়তো ব্যক্তিগত কোনো সমস্যায় ভুগছিলেন। আবার কেউ কেউ আর্থিক চাপ বা পারিবারিক টানাপোড়েনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে—আত্মহত্যা না কি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শম্ভু সামন্তের অকাল প্রয়াণে তার সহকর্মী ও পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷