
সোনারপুরঃ সোনারপুর: সোনারপুর থানা এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এক কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম সহেলি দাস (২২)। বিজয়গড় কলেজের ছাত্রী সহেলি বুধবার পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর সন্ধ্যায় নিজের ঘরের ভেতর আত্মঘাতী হন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সহেলি তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। তার বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। পরিবার জানিয়েছে, সহেলির সঙ্গে একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এই সম্পর্কের কারণেই কি আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ মদের আসরে ডেকে নিয়ে বন্ধুকে নৃশংস খুন, চাঞ্চল্য সোনারপুরে
বুধবার সন্ধ্যায় সহেলি নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেকক্ষণ কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সহেলির নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সহেলির মধ্যে মানসিক অবসাদের কোনো লক্ষণ আগে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি তিনি কিছুটা চুপচাপ থাকতেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এই ঘটনার পর সহেলির পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে। এলাকাতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ আত্মহত্যার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে। সহেলির মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রেমঘটিত কোনো কারণ রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, এমন ঘটনায় সহেলির বন্ধুরা ও কলেজের সহপাঠীরা হতবাক। সহেলি কী কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের মতে, তিনি সহজেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার মতো মেয়ে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে অনুমান করছে পুলিশ। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।