
সোনারপুরঃ সোনারপুর থানার পুলিশ বেআইনীভাবে গাছ কাটার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে গাছ কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সোর্স মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। অনুমতি ছাড়াই প্রতাপনগর এলাকায় প্রকাশ্যে গাছ কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ভোরে সোনারপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে, প্রতাপনগর এলাকায় কিছু লোক বেআইনীভাবে গাছ কাটছে। খবর পেয়েই পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখে, পাঁচজন ব্যক্তি গাছ কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আটক করে এবং গাছ কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে। অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে সুয়োমটো মামলা রুজু করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সোনারপুরে টোটোচালককে মারধর, টোটো ছিনতাই—অভিযোগ পুলিশের কাছে
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। বর্তমান সময়ে যখন সরকার ও বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন গাছ লাগানোর বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করছে, তখন এমন বেআইনী গাছ কাটার ঘটনা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সোনারপুর থানা এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা জানিয়েছেন, এভাবে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় গাছ কাটা কীভাবে সম্ভব হলো? পুলিশের নজরদারিতে কি ঘাটতি ছিল? এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে এবং নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনী কাজ আর না ঘটে।
পরিবেশবিদদের মতে, সরকারি অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে তবেই এই ধরনের ঘটনা কমবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, গাছ কাটা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন বেআইনী কাজ কেউ করতে না পারে।