
সোনারপুরঃ সোনারপুর থানায় হাজিরা দিলেন সিপিএমের আইনজীবি নেতা সায়ন ব্যানার্জি। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তাকে থানায় ডাকা হয়। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী ও হুমায়ুন কবীরের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তার দাবি, তাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের ফলে সমাজের একাংশ উত্তেজিত হতে পারে, এমনকি দাঙ্গার পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। তার করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাকে থানায় ডেকে পাঠায় এবং প্রায় আধঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সায়ন ব্যানার্জি ইমেল মারফত শুভেন্দু অধিকারী ও হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ, তারা যে বক্তব্য রেখেছেন, তা জনসাধারণের একাংশকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত বলে তিনি পুলিশের কাছে দাবি জানান।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু অধিকারী ও হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের সায়নের
অভিযোগ পাওয়ার পরই সোনারপুর থানার তদন্তকারী অফিসাররা তাকে তলব করেন। রবিবার সন্ধ্যায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে থানায় পৌঁছান সায়ন ব্যানার্জি। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তার বক্তব্য শোনা হয় এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানা থেকে বেরিয়ে সায়ন ব্যানার্জি সাংবাদিকদের জানান, “আমি পুলিশকে সব তথ্য দিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারী এবং হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যের ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”
এই ঘটনার পরই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সায়নের দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৄণমুল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ইচ্ছাকৃতভাবে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় সংবিধান অনুযায়ী পুলিশের পক্ষ থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷ কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।