
সোনারপুরঃ একটানা ৯দিন হিমাচল প্রদেশের ছিকা গ্রাম আটকে সোনারপুর আরোহীর পর্বতারোহী দল ৷ সমুদ্র পৄষ্ঠ থেকে এই গ্রামের উচ্চতা ৩৭০০ মিটার ৷ মেসেজের মাধ্যমে আরোহীর সদস্যরা জানিয়েছেন তারা সকলেই ভালো আছেন ৷ তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবারও আছে ৷ আগে থেকেই খারাপ আবহাওয়ার পুর্বাভাস পেয়ে তারা খাবার মজুত করে রেখেছিলেন ৷ ফলে এখনও পর্যন্ত খাবারের কোনও সমস্যা হয়নি ৷ আজও রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেনি বিআরও ৷ আবহাওয়ার উন্নতি ও রাস্তা পরিষ্কারের উপরেই তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ শীতকালীন পর্বত অভিযানে গিয়ে এখনও হিমাচলপ্রদেশের ছিকা গ্রামেই আটকে সোনারপুর আরোহীর পর্বতারোহী দল ৷ সমস্যা রয়েছে ইন্টারনেট ও বিদ্যুত পরিষেবায় ৷ টানা তুষারপাতের পর মার্চ মাসের ১ ও ২ তারিখে আবহাওয়ার উন্নতি হয় ৷ কিন্তু ৩ তারিখ থেকে ফের তুষারপাত শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুনঃ প্রবল তুষারপাতের জেরে টানা আটদিন ছিকা গ্রামেই আটকে পর্বতারোহী দল
সিনকুন সাউথ অভিযানের উদ্দেশ্যে ২২শে ফেব্রুয়ারী শনিবার হাওড়া থেকে পুর্বা এক্সপ্রেস ধরে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সোনারপুর আরোহীর পর্বতারোহী দল ৷ ২৩শে ফেব্রুয়ারী রবিবার দিল্লিতে পৌঁছে বিকেলে মানালি যাওয়ার বাস ধরে তারা ৷ ২৪শে ফেব্রুয়ারী সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মানালি পৌঁছায় পুরো টিম ৷ সারাদিন মানালিতে কাটিয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারেন এবং পর্বত আরোহণের সরঞ্জাম সংগ্রহ করেন ৷ পরেরদিন ২৫শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালেই মানালি থেকে বের হয়েছিলেন সোনারপুর আরোহীর পাঁচ সদস্যের এই অভিযাত্রী দল ৷ প্রথমে তারা যান কেলংয়ে ৷ কেলংয়ে ডিসি অফিস ও পুলিশ সুপারের অফিসে নিয়মানুযায়ী সমস্ত তথ্য জমা করা হয় ৷ তারপর ছিকা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুরো টিম ৷ ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় এই গ্রাম এই পথের শেষ গ্রাম ৷ এখানেই দুদিন থাকার কথা ছিল তাদের ৷ আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প ও এখানকার ছোটছোট বাচ্ছাদের হাতে খেলার সরঞ্জাম তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের ৷ ২৫শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর থেকে ৫ই মার্চ টানা নয় দিন ছিকা গ্রামের কমিউনিটি সেন্টারে আপাতত তারা রয়েছেন ৷
দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার ছাড়াও এই অভিযানে রয়েছেন সোনারপুর আরোহীর আরও চার সদস্য ৷ তারা হলেন রাহুল হালদার, চিকিৎসক উদ্দীপন হালদার, দেবাশিস মজুমদার ও অরুনাভ সাঁপুই ৷ সোনারপুর আরোহীর এবারের লক্ষ্য শীতকালীন অভিযানে সফল আরোহণ করা ৷ দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার জানান এই অভিযান সফল হলে শীতকালীন অভিযানে আগ্রহ আরও বাড়বে ৷ সাধারণত ২১শে ডিসেম্বর থেকে ২১শে মার্চের মধ্যে কোনও পর্বতের বেসক্যাম্প থেকে শৄঙ্গে আরোহন করে আবার বেসক্যাম্পে ফেরত এলে তা শীতকালীন পর্বতারোহনের মধ্যে পড়ে ৷ জানা গিয়েছে দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ধরে পশ্চিম গিরিশিরায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ৷